Cover PhotoCover Photo

বিকাশ শর্তাবলি

যদি আপনার এনআইডি কার্ড এবং আপনার ফোনের সেলফি ক্যামেরা থাকে তাহলে আপনি মাত্র কয়েকটি পদক্ষেপ এর মাধ্যমেই আপনার নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন!

১. বিকাশ লিমিটেড (পরবর্তীতে "বিকাশ" নামে উল্লিখিত)-এর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ("বিকাশ সেবা") গ্রহণকারী বিকাশ গ্রাহক নামে পরিচিত হবেন এবং একমাত্র উক্ত গ্রাহকই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্টটির ("বিকাশ একাউন্ট") ব্যবহারকারী হবেন।

২. বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সরবরাহের জন্যে প্রযোজ্য বিধি, বিধান, নীতিমালা, সার্কুলার, এবং আদেশ/নির্দেশ অনুযায়ী বিকাশ সেবা এবং বিকাশ একাউন্ট-এর লেনদেন/কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিকাশ গ্রাহক উক্ত বিধি, বিধান, নীতিমালা, সার্কুলার প্রভৃতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।

৩. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট নাম্বারটি (যা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট SIM-এর MSISDN নাম্বার) বিকাশ সংক্রান্ত সব রকম দলিলে/ফরমেসঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। ভুল নাম্বার উল্লেখের কারণে কোনো রকম ক্ষয়-ক্ষতির জন্যে বিকাশ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

৪. বিকাশ একাউন্ট-এ পর্যাপ্ত ব্যালেন্সের অভাবে লেনদেন সম্পন্ন না হলে তার জন্য বিকাশ দায়ী থাকবে না।

৫. বিকাশ গ্রাহক কাউন্টার ত্যাগ করার পূর্বে তার উদ্দিষ্ট বিকাশ একাউন্ট-এ অথবা বিকাশ একাউন্ট থেকে যথাযথ পরিমাণ ক্যাশ ইন/ক্যাশ আউট/পেমেন্ট ইত্যাদি সম্পন্ন হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন। পরবর্তীতে কোনো প্রকার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।

৬. বিকাশ গ্রাহক বিকাশ সেবা ব্যবহার করে প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে প্রাপকের যথার্থতা নিশ্চিত হয়ে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট নাম্বার, টাকার পরিমাণ, গোপন নাম্বার এবং লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়ার সময় সতর্ক থাকবেন। লেনদেন করার সময় কোনো ভুল তথ্য বা নির্দেশনা প্রদান করলে বা কোনো প্রকার প্রলোভন, মিথ্যা উপস্থাপনা বা প্রতারণার শিকার হয়ে কোনো লেনদেন করলে, এর জন্য একমাত্র গ্রাহকই ব্যক্তিগত এবং এককভাবে দায়ী থাকবেন। বিকাশ কোনো ক্ষেত্রেই উক্ত লেনদেনকৃত অর্থ ফেরত প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ কিংবা বহন করবে না।

৭. বিকাশ সেবা সংশ্লিষ্ট সকল ফি এবং/অথবা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ সময়ে সময়ে নির্ধারণের ক্ষমতা বিকাশ সংরক্ষণ করে এবং এই সকল ফি অথবা চার্জ বিকাশ একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হবে।

৮. মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত সার্কুলার/নীতিমালা অনুযায়ী বিকাশ গ্রাহক বিকাশ-এর চাহিদা মোতাবেক যেকোনো তথ্য বিকাশ-কে প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন।

৯. বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত সকল তথ্যের ক্ষেত্রে বিকাশ সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখবে। তবে নিম্নবর্ণিত যেকোনো ক্ষেত্রে বিকাশ গ্রাহক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য প্রকাশ/প্রদান করার ক্ষমতা বিকাশ সংরক্ষণ করে:-

  • বিকাশ-এর উপর এখতিয়ারপ্রাপ্ত, নিয়ন্ত্রণকারী, তত্ত্বাবধানকারী অথবা সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনে;
  • আদালতের আদেশ অথবা আইন দ্বারা অনুমোদিত কোনো ব্যক্তির প্রয়োজনে;
  • বিকাশ-এর বিভিন্ন অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যেকোনো সেবা প্রদানকারী অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নিকট;

১০. বিকাশ গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট-এর গোপন নাম্বার (PIN) কখনোই কারো কাছে প্রকাশ করবেন না এবং এর সর্বোচ্চ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এবং এককভাবে দায়ী থাকবেন। গোপন নাম্বারের গোপনীয়তা ভঙ্গ বা অপব্যবহারের আশঙ্কা দেখা দিলে অবিলম্বে তা পরিবর্তন করে ফেলবেন। বিকাশ গ্রাহক কর্তৃক অবহেলা, অসতর্কতা, ভুল বা গোপন নাম্বারের গোপনীয়তা ভঙ্গ করার ফলে অথবা গোপন নাম্বারের কোনো প্রকার অপব্যবহারের কারণে বিকাশ গ্রাহক কোনোভাবে প্রতারিত এবং/অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিকাশ কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না। মোবাইল ফোন অথবা সিম হারিয়ে গেলে বিকাশ গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ হেল্পলাইনে (16247)-এ ফোন করে বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দিবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্যে বিকাশ-এর সাথে যোগাযোগ করবেন।

১১. বিকাশ গ্রাহক সর্বদা তার বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে যেকোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকবেন। বিকাশ গ্রাহক যদি এই ফরমের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে বা প্রতারণা করে বা করার চেষ্টা করে অথবা বিকাশ-এর বিবেচনায় বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনের আচরণ সন্দেহজনক হলে, গ্রাহকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, নিরাপত্তা জনিত বা অন্য যেকোনো যুক্তিসংগত কারণে কোনো পূর্ব ঘোষণা প্রদান ব্যতিরেকে বিকাশ যেকোনো সময় বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করা, বাতিল করা, বন্ধ করা বা বিকাশ-এর বিবেচনায় সঠিক অন্য যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ যেকোনো প্রকার শাস্তিমূলক বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার সংরক্ষণ করে। এক্ষেত্রে বিকাশ-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ও গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।

১২. বিকাশ গ্রাহক সর্বদাই বিকাশ কর্তৃক যেকোনো মাধ্যমে তার কাছে প্রেরিত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। অন্যথায়, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিকাশ উক্ত বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করা বা বাতিল করা সহ গ্রাহকের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার সংশোধনমূলক বা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বিকাশ-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ও গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক বলে গণ্য হবে। তদন্ত চলাকালীন সময়েও বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করে রাখার অধিকার বিকাশ সংরক্ষণ করে। তবে এসএমএস বা ফোনকলের মাধ্যমে যদি গ্রাহককে কোনো লেনদেন করতে, নির্দিষ্ট সংখ্যা চাপতে কিংবা গোপন নাম্বার বা বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশ করতে বলা হয়, তবে বিকাশ গ্রাহক তা বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যাচাই করা ব্যতীত কোনোভাবেই করবেন না।

১৩. বিকাশ একাউন্ট সংশ্লিষ্ট সিম কার্ড এবং সিম কার্ড প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদির জন্য একমাত্র বিকাশ গ্রাহকই দায়ী থাকবে। বিকাশ এই সংক্রান্ত কোনো দায়দায়িত্ব কখনোই বহন করবে না।

১৪. বিকাশ একাউন্ট সংশ্লিষ্ট সিম কার্ড প্রতিস্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর-এর কাছ থেকে প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পর বিকাশ উক্ত বিকাশ একাউন্টটির কার্যক্রম স্থগিত করে দিবে। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুসারে অন্তত ২৪ ঘণ্টা উক্ত বিকাশ একাউন্টটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

১৫. বিকাশ গ্রাহককে কোনো পূর্ব ঘোষণা প্রদান ব্যতিরেকে বিকাশ যেকোনো সময়ে যেকোনোভাবে বর্তমান নিয়মাবলী সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্ধন ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

১৬. বিকাশ উপযুক্ত নিয়ম-নীতি অনুসারে যেকোনো সময় বিকাশ গ্রাহকের কাছে প্রচার সংক্রান্ত আইভিআরস (IVRs), ফোন কল অথবা এসএমএস পাঠানোর অধিকার সংরক্ষণ করে।

১৭. বিকাশ গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে চাইলে, উক্ত একাউন্ট-এ জমাকৃত টাকা শুধুমাত্র যেকোনো বিকাশ সেবা ব্যবহার করা সাপেক্ষে শূন্য (nil balance) করে একাউন্ট বন্ধ করার আবেদন করতে পারবেন।

১৮. বিকাশ একাউন্ট-এ জমাকৃত টাকার উপর কোনো প্রকার সুদ প্রদান করার মানদন্ড বা হার নির্ণয় করার যাবতীয় অধিকার বিকাশ সংরক্ষণ করে। বিকাশ গ্রাহক সুদ গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক হলে বিকাশ হেল্পলাইন (16247)-এ ফোন করে তা বন্ধ করতে পারবেন।

১৯. কোনো প্রকার অপ্রত্যাশিত অথবা অনিবার্য কারণবশত গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট চালু করতে বা কোনো সেবা প্রদান করতে বিলম্বের কারণে বিকাশ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায়ী হবে না। বিকাশ কোনো প্রকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ না হয়ে বিকাশ সেবা সফলভাবে প্রদান করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাবে।

২০. বিকাশ গ্রাহক, বিকাশ সেবা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ বিকাশ সেন্টার বা বিকাশ কেয়ার-এ এসে কিংবা বিকাশ হেল্পলাইন (16247)-এ ফোন করে অথবা support@bkash.com-এ ই-মেইল করে জানাতে পারেন। বিকাশ সবসময়ই বিকাশ গ্রাহকের লেনদেন সম্পর্কিত কোনো দ্বন্দ্ব বা অভিযোগ মীমাংসা করার জন্য তদন্ত পরিচালনা, অভিযোগকারী এবং/অথবা অভিযুক্ত বিকাশ গ্রাহককে বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো, বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট স্থগিত করা, বন্ধ করা, নিষ্পত্তি করা সহ বিকাশ-এর বিবেচনায় সঠিক যেকোনো সংশোধনমূলক বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।

২১. বিকাশ তার কোনো গ্রাহকের ব্যক্তিগত বা লেনদেনের তথ্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ (তথ্য যাচাই বাদে) বা বিক্রি করবে না। তবে, বিকাশ তার গ্রাহকের লেনদেনের ধরন পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করতে পারে যেন উক্ত গ্রাহককে উন্নত সেবা বা পণ্য প্রদান করতে পারে এবং তার অভিজ্ঞতা আরও নিরাপদ ও সহজ করতে পারে।

আমি এই মর্মে নিশ্চিত করছি যে, বিকাশ লিমিটেড –এর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর একজন গ্রাহক হবার জন্য একাউন্ট খোলা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত সকল নিয়ম এবং উপরে উল্লিখিত শর্তাবলি আমি পড়েছি, বুঝেছি এবং মেনে চলার অঙ্গীকার করছি। এই কেওয়াইসি ফরমে প্রদত্ত সকল তথ্য এবং দলিলাদি সত্য, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ এবং কোনো তথ্য আমি গোপন করিনি। জ্ঞাতব্য, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ধারা ৮(১) "কোনো ব্যাক্তি জ্ঞাতসারে অর্থের উৎস বা নিজ পরিচিতি বা হিসাব ধারকের পরিচিতি সম্পর্কে বা কোনো হিসাবের সুবিধাভোগী বা নমিনি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করিবেন না" এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৮(২) "কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অনধিক ০৩ (তিন) বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনুর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন"।